কামারখন্দ

গোখাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে কামারখন্দের খামারিরা

গোখাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে কামারখন্দের খামারিরা

গোখাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে কামারখন্দের খামারিরা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বেড়েছে গোখাদ্যের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা।  বাধ্য হয়ে  গবাদিপশুকে প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার দিচ্ছেন খামারিরা। ঈদুল আজহার আগে খাবার দাম না কমলে এবার লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

উপজেলার কয়েকজন গোখাদ্যের ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার গোখাদ্যের দাম বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

পূর্বের দাম ছিল ফিড প্রতি বস্তা ৬৫০-৭৫০ টাকা, গমের ভূসি ১১০০-১৩০০ টাকা, ছোলার ভুসি প্রতি কেজি ৪৫- ৪৮, ধানে কুড়া প্রতি কেজি ৮-১০ টাকা, চালের খুদ প্রতি কেজি ২৫-২৮ টাকা, খৈল প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা এবং লবন প্রতি কেজি ১০-১২ টাকা।

বর্তমানে দাম ফিড প্রতি বস্তা ১২০০- ১২৫০ টাকা, গমের ভূসি ১৮৫০- ২১০০ টাকা। ছোলার ভুসি প্রতি কেজি ৫৫-৬০, ধানে কুড়া প্রতি কেজি ১৫ -১৮ টাকা, চালের খুদ প্রতি কেজি ২৫-২৮ টাকা, খৈল প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা এবং লবন প্রতি কেজি ১৩-১৬ টাকা।

উপজেলার ধোপাকান্দি এলাকার খামারী সাইদুল ইসলাম বলেন,তাঁর খামারে দশটি গরু আছে। মাসে ২০ বস্তা ভূসি খাওয়াতে হয়। বর্তমানে ভূসির দাম নাগালের বাইরে এজন্য পশুর প্রয়োজনের চেয়ে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি। 

ঈদের আগে যদি গোখাদ্যের দাম না কমে তাহলে তাদের মতো খামারিদের বড় ক্ষতি হবে কেননা গোখাদ্যের দামের মতো পশুর দাম বাড়বে না।  

উপজেলা ঠাকুরঝিপাড়া গ্রামের খামারী মো. জুলফিকার আকন্দ বলেন,তাঁর ছয়টি গরু আছে। যেভাবে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা যদি নিয়ন্ত্রণ না হয় তাহলে খামারীদের বড় ক্ষতি হবে বর্তমানে তিনি প্রতি কেজি ভুসি ৫০-৬০ টাকা করে ক্রয় করে খাওয়াচ্ছেন এছাড়া অন্যান্য খাবার মিলিয়ে ৬০০-৭০০ টাকা খরচ হচ্ছে।তাদের মত ছোট খামারীদের পক্ষে গরু পালন করা সম্ভব হবে না বলে জানায়।

গো-খাদ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন তাঁরা  যে দামে খুচরা বিক্রি করছেন সেই দামে কিনতে পারছে না একদিন পর পর দাম বাড়ছে। দাম ধাপে ধাপে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গোখাদ্য কেনাবেচা কমে গেছে। আবার যারা কিনছেন তাঁরা আগের চেয়ে কম নিচ্ছেন অর্থাৎ আগে যদি ভূমি বা অন্যান্য খাবার এক বস্তা নিতেন এখন তাঁরাই অধেক বস্তা নিচ্ছে। আগে যেখানে খুদ ১০ কেজি নিচ্ছে সে এখন ৫ কেজি নিচ্ছে। চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। 

কামারখন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিসের সূত্রে জানা যায়, নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ৪৯টি ও অনিবন্ধিত ২৯৪০টি রয়েছে। এছাড়া উপজেলাতে দুধ উৎপাদন হচ্ছে বছরে ৩৮ হাজার মেট্রিক টন এবং মাংস ১৮ হাজার মেট্রিক টন। 

কামারখন্দ উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (প্রাণিস্বাস্থ্য) মো. গোলাম হোসেন বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা হিমশিম খাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলায় সমতল জায়গাতে খামারীদের ঘাস আবাদ করতে হবে। তাহলে দানাদার খাদ্যের পরিমান কম লাগবে। এর ফলে তাদের খরচের পরিমান কমবে এবং লাভের পরিমাণ বেড়ে যাবে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে খামারীদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকেন বলেও তিনি জানায়।

Bayazid Hasan

Bayazid Hasan is A Blogger, Writer, Content Creator, SEO expert, WordPress Expert, and Photographer. "Simple Living High Thinking"

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button