সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকার বিসিক বাসস্ট্যান্ড ও এর আশেপাশে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে সওজ। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সওজের এ অভিযানে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাঁচ শতাধিক কাঁচাপাকা স্থাপনা।
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের বিসিক বাসস্ট্যান্ডে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। বিসিক বাসস্ট্যান্ডে সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা কাঁচা ও পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বুলডোজর দিয়ে। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে ইটের দেওয়াল, মর্মর করে ভেঙে পড়ছে ঘরের টিন। উপড়ে ফেলা হচ্ছে লোহার খুঁটি। ভাঙা হচ্ছে একটার পর একটা স্থাপনা। ভেঙে ফেলা এসব স্থাপনা ও দোকানের মালিকরা ইট, কাঠ, লোহার রড, টিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কুড়িয়ে নিচ্ছেন। রাস্তার দুইপাশে শতশত উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে দেখছেন এ উচ্ছেদ অভিযান।
সওজ সিরাজগঞ্জ কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে সওজের জায়গা দখল করে অনেকে ছোটবড় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন। অনেকে দোকানঘর এমনকি তিন তলা বিশিষ্ট আবাসিক হোটেল তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। এসব দখলদারকে সওজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ দখল ছাড়তে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তির প্রতি কেউই গুরুত্ব দেননি। এদিকে সওজের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয়। নোটিশ দিয়ে বারবার বলার পরও কেউ দখল না ছাড়ায় রবিবার সকালে থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে সওজ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযানে পাঁচ শতাধিক কাঁচাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে প্রথম দিনের মত অভিযান সমাপ্ত হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী দোকানদাররা বলেন, সরকারের জায়গা নিজেদের দখলে নিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণ বা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে দোকানঘর ভেঙ্গে এসব জায়গা ফেলে রাখলে আবার আগের মতই দখল হয়ে যাবে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাহীন গরীবদের কয়েক শত দোকানপাট ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হলেও সুইট ড্রিম খ্যাত অট্রালিকা কেন না ভেঙেই অভিযান সমাপ্ত হলো!
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজে’র আইন ও সম্পত্তি বিষয়ক উপ-সচিব কামরুজ্জামান মিয়া, সওজ পাবনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলি এবং সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত আবুল মনসুর আহমেদ।