মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢালে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন।
এদিকে যমুনার পানি বাড়ায় জেলার অন্য নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। যা নদী পড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীটির পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল লতিফ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যমুনায় দ্রুত পানি বদ্ধির ফলে জেলার কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের কিছু অংশে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। প্রতিদিনই ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চৌহালী উপজেলার চর আঙ্গাড়ু গ্রামের শুক্কুর ইসলাম বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে যমুনায় পানি নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। পানি বাড়ায় নদীবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন শুরু হয়েছে। আবার পানি কমে যাওয়ার সময়তেও নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। এখন পর্যন্ত ২০/২৫টা বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, কাসেম আলী জানান, ‘গত দুদিন আগেই এই গ্রামের ৯টি বসত ভিটা নদীতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া প্রতিদিনই নদীর পাড় ভাঙছে। ভাঙন আতঙ্কে অনেকে ঘর বাড়ি নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নিচ্ছেন ৷’
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলের কারণে এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। পানি বাড়াতে অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। যমুনার পানি আরও ৫-৭ বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না বলে আশা করছি।’