সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ফসলের মাঠগুলোতে পানি জমে থাকায় পাকা ধান নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া ধান পচে চারা বের হচ্ছে কিছু জমিতে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। ফসল রক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেও এই বৃষ্টিতে মিলছে না শ্রমিক। ফলে ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে ধান।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৩৫০ হেক্টর।
সরেজমিনে, উপজেলার তালম ইউনিয়নের চৌড়া,গুল্টা, দেশীগ্রাম ইউনিয়নের , আড়ংগাইল, মাধাইনগর ইউনিয়নের ভাদাস, সেরাজপুর, মালশিন, তাড়াশ পৌর এলাকার কোহিত, আসানবাড়ি, বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া, বস্তুলসহ মাগুরা ইউনিয়ন মাগুরা বিনোদ সহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমিতে বৃষ্টির পানি জমে ডুবে গেছে ধান।
চৌড়ার গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিনের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বর্তমানে বৃষ্টির কারণে আমার ১৫ বিঘা জমির পাকা ধান পানির নিচে শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারছিনা ।
আসানবাড়ী গ্রামের শাহ আলম সরকার বলেন, পাকা ধান পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে, শ্রমিকের সাথে অর্ধেক ভাগেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অবিরাম বৃষ্টি, সর্বনাশ হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পাবনা অঞ্চল থেকে কৃষি শ্রমিকেরা উপজেলার বিভিন্ন গৃহস্থের বাড়ি থেকে ধান কাটতেন কিন্ত এবছর তারা অজ্ঞাত কারণে এখনও অধিকাংশ গৃহস্তের বাড়িতে আসেননি। তাই শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ার কারণও এটি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীসহ সকল স্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের নানা দিক নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। মাঠের শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা একটু সমস্যায় পড়েছে